দক্ষিণ আফ্রিকার পুমালাঙ্গা প্রদেশের কেওয়াথান ডেগায় স্থানীয় জুলু সম্প্রদায়ের অধিবাসী পেসিটলে ফয়সাল (৩০) নামের এক নারী স্কুলপড়ুয়া দুই মে’য়েকে সঙ্গে নিয়ে তার বাংলাদেশি স্বামীকে খুঁজছেন।
পেসিটলের দুই মে’য়ের নাম ফাহিম ফয়সাল (১২) ও ফারহানা ফয়সাল (৯)। তারা তাদের বাবা নোয়াখালী সাইয়েদ আল ফয়সালের খোঁজে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে বারবার ধর্না দিচ্ছেন।
২০০৯ সালের হাতের লেখা পাসপোর্ট অনুযায়ী ফয়সালের জন্ম ১৯৮২ সাল ২ জানুয়ারি নোয়াখালীতে। তার পেশা ব্যবসা। তার পিতা আব্দুল্লাহ এবং মাতা রোকেয়া বেগম।
দুই কন্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পেসিটলে ফয়সাল (৩০) এ প্রতিবেদককে জানান, তার স্বামী সাইয়েদ আল ফয়সাল তার এলাকা কেওয়াথান ডেগায় দোকান দিয়ে ব্যবসা করেছিলেন। তিনি ফয়সালের দোকানে নিয়মিত ক্রেতা ছিলেন। ২০০৫ সালে তাদের প্রে’মের স’ম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফয়সালের দাবি মেনে খ্রিস্ট ধ’র্ম ত্যাগ করে ইস’লাম ধ’র্ম পালন করতে শুরু করেন তিনি। সিপিওসিলি পেসিটলে নাম বদলে নতুন নাম নেন পেসিটলে ফয়সাল। ২০০৯ সালে তারা বিয়ে করে সংসার করতে থাকেন। ২০১০ সালে তাদের বড় মে’য়ে ফাহিমা ফয়সাল (১২) জন্ম হয়। এরপর ছোট মে’য়ে ফারহানা ফয়সাল (৯)। সন্তানদের নিয়ে তাদের সংসার সুখে-শান্তিতে চলছিল। ২০১৮ সালে হঠাৎ করে তার ফয়সাল বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে চলে যায়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করে তিনি সফল হননি। ফয়সাল তাদের কোনো ভরণপোষণ দিচ্ছে না। এমনকি কোনো যোগাযোগও করছে না। এ অবস্থায় দুই কন্যা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। চরমভাবে অর্থসংকটে থাকা পেসিটলে ফয়সাল তার স্বামী সাইয়েদ আল ফয়সালের সন্ধান পেতে এবার কোম’র বেঁধে নেমেছেন।
বাংলাদেশি কমিউনিটির সহসভাপতি গফুর রেহাম বলেন, আম’রা অনেক বছর চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো সমাধান দিতে পারিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।